সাজেকভ্যালির ২য় পর্ব

সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে ২য় পর্বে আপনাকে স্বাগতম! এই পর্বে আমরা জানবো সাজেক ভ্যালির হোটেল,রেস্টুরেন্ট ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে -
প্রথমেই একটু হোটেল সম্পর্কে বলে নেই এইখান কর বেশিরভাগ হোটেল কাঠের তৈরি একমাত্র সাজেক রিসোর্ট টাই সম্পূর্ণ কংক্রিটের তৈরি! এইখানকর বেশিরভাগ হোটেল কাঠের হলেও প্রায় সব সুবিধাই আছে ভিতর থেকে বোঝা কঠিন যে হোটেলগুলো কাঠের তৈরি তবে কিছু অসুবিধাও আছে সব হোটেলে আপনি ২৪ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা নাও পেতে পারেন কারণ এইখনে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়ে থাকে ! হোটেল অনুসারে ৫০০-১৫০০টাকার মধ্যে আপনি আপনার মনের মত রুম পেয়ে যাবেন! যদি আপনারা একসাথে অনেক কয়েকজন  ভ্রমনে আসেন সেক্ষেত্রে অনলাইনে হোটেল বুকিং দিয়ে আসাই ভাল আর যদি ৮-১০জন একসাথে আসেন তাহলে সাজেক এসেও হোটেল বুকিং দিতে পারবেন ! তবে বর্ষাকালে যেহুত সাজেকের অন সিজন তাই এই সময়টা একটু ভিন্ন রকম হতে পারে!
*এবার আসি রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে প্রতিটা রেস্টুরেন্টে অর্ডার দেবার পর খাবার রান্না করা হয়! রেস্টুরেন্ট গুলোতে প্যাকেজ হিসাবে খাবার পরিবেশন করা হয়! এখানে আপনি ইচ্ছামত ভাত আর ডাল খেতে পারবেন,যে প্যাকেজটা সিলেক্ট করবেন সেই তরকারিটা নির্দিষ্ট  পরিমানে পাবেন! আপনি যদি ডিম বা মাংসের প্যাকেজ সিলেক্ট করেন তাহলে ওই ডিম আর মাংসটা নির্দিষ্ট পরিমানে পাবেন সাথে ডাল আর ভাত আপনার চাহিদা মত পাবেন ! আপনি যদি ন্যূনতম ডিম প্যাকেজ  গ্রহণ  করেন  তাতে আপনার সর্বনিম্ন  বিল আসবে ১২০টাকা! প্যাকেজ ছাড়াও রেস্টুরেন্টগুলো কিছু খাবার বিক্রি করে যেমন:সকালের নাস্তার জন্য লুচি,পরোটা, ডাল ইত্যাদি! আপনি চাইলে আপনার খাবারের জন্য পূর্বে থেকেই রেস্টুরেন্টে অর্ডার দিয়ে রাখতে পারবেন!  রেস্টুরেন্টগুলো সাধারণত খাবার পার্সেল করে না এবং রেস্টুরেন্ট ভেদে দামের তেমন কোন পার্থক্য নেই প্রায় সব রেস্টুরেন্টের প্রাইজ ও মেনু একই!
*এবার আসা যাক সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে :--সাজেক ভ্যালি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তাই এইখানে সব সময় সব সিজিনেই সহজে মেঘ দেখতে পাওয়া যায়! মেঘের অপরুপ দৃশ্য আপনার মন ছুয়ে যাবে!খুব কাছে থেকে মেঘ দেখার আনন্দ সাজেক  আসার আনন্দগুলোর মধ্যে একটা ! এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার হোটেলের বারান্দা থেকে এই দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন! দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে হেলিপ্যাড এখান থেকে আপনি সূর্যদয় ও সূর্য অস্ত উপভোগ করতে পারবেন যা আপনার মন কে এক অন্যরকম প্রশান্তি দেবে ! এছাড়াও হেলিপ্যাড থেকে আপনি সাজেকের রাতের আকাশ উপভোগ করতে পারবেন এখানে নিরাপত্তাহীনতার কোন ভয় নাই কারণ সাজেকভ্যালি সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর আওতায় ! সাজেকভ্যালির আরেকটি দর্শনীয় স্থান হলো কংলাক পাহাড় এটি সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান ! শুকনো মৌসুমে আপনি সরাসরি গাড়ি নিয়ে কংলাক পাহাড়ের পাদদেশ প্রর্যন্ত আসতে পারবেন তবে আপনি চাইলে পায়ে হেটেও আসতে পারবেন! শুকনো মৌসুমে ব্যাতিত আপনাকে কাঁচা রাস্তাটুকু  পায়ে হেটে যেতে হবে! (ভবিষ্যৎয়ে কাচা রাস্তা আর থাকবে না)
কংলাক পাহাড়ে ওঠার সময় আপনি চাইলে বাশ বা লাঠি ব্যবহার করতে পারবে যা আপনার ওঠার পথকে অনেক সহজ করে দিবে! লাঠি বা বাশ আপনি এখান থেকেই ক্রয় করতে পারবেন,আপনার যদি শারিরীক ভারসাম্য খুবই ভালো থাকে তাহলে আপনি লাঠি ছাড়াই পাহাড়ে উঠতে পারবেন! পাহাড়ে ওঠার পর পাহাড় থেকে চারিদিকের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে! সাজেক ভ্যালির আরেকটি দর্শনীয় স্থান হলো সাজেক ঝর্ণা এইখানে যাওয়া একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার তাই এইখানে সকালের দিকেই যাওয়া ভালো হয়!
কেহ যদি সাজেকভ্যালি ভ্রমণে যান বা যেতে চান তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবেন!

Comments