কিভাবে সাজেকভ্যালি যাবেন

কিভাবে সাজেকভ্যালি যাবেন

 প্রথমেই বলে রাখি সাজেক ভ্যালির অবস্থান রাঙ্গামাটিতেও হলেও বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াত করে খাগড়াছড়ি হয়ে কারণ রঙ্গমাটি থেকে এর দূরুত্ব ৯৫কি:মি: হলেও খাগড়াছড়ি থেকে এর দুরুত্ব মাত্র ৬৫কি:মি: মূলত এই কারণেই মানুষ খাগড়াছড়ি হয়ে যায় এছাড়াও খাগড়াছড়ি হয়ে গেলে খাগড়াছড়ি আলুটিলা পাহাড়ের গুহা দেখার সুযোগ হয়!
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আপনি যে কোন পরিবহণে খাগড়াছড়ি বা খাগড়াছড়ির মূল পয়েন্ট শাপলাচত্বরে আসতে পারেন এবং সেখান থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য চাঁদের গাড়ি পাওয়া যায়!
আমি একটু আমার মত করে বলছি যেহুত আমি রিজার্ভ বাসে গিয়েছিলাম যারা রিজার্ভ বাস নিয়ে আসবেন তারা ইচ্ছা করলে বাস নিয়ে দীঘিনালা প্রর্যন্ত যাইতে পারবেন এবং সেখান থেকেও চাঁদের গাড়িতে যাইতে পারবেন তার আগে একটু বলে রাখি যখন আপনি রিজার্ভ বাস নিয়ে খাগড়াছড়ির শাপলাচত্বর প্রর্যন্ত আসবেন তখন অনেকেই বলবে গাড়ি যাইতে পারবে না,আবার অনেকেই বলবে এইখানকর ড্রাইভার নেন ইত্যাদি! আসলে খাগড়াছড়ি আসা প্রর্যন্ত যেরকম পথ পার হয়ে আসছেন দীঘিনালা  প্রর্যন্ত একই পথ আপনাকে পাড়ি দিয়ে যেতে হবে এর চেয়ে বেশি দূর্গম পথ আপনাকে পাড়ি দিতে হবে না! 
এবার আসি চাঁদের গাড়ি সম্পর্কে -চাঁদের গাড়ি হলো একটা গাড়ি যে গাড়ি শক্তিশালী ইঞ্জিন বিশিষ্ট যা পাহাড়ে উঠতে পারে! এই গাড়িতে ১০-১২জন যাত্রি ধারণ করে তবে ইচ্ছা করলে যতজন ইচ্ছা তত জনই উঠতে পারবেন কোন নিষেধ নাই তবে লম্বা রাস্তা,দূর্গম পথ আর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বেশি যাত্রী না উঠাই ভাল! যে গাড়িতে যাবেন সেই গাড়িতেই ব্যাক আসতে হবে এবং গাড়িগুলো ওইভাবে ভাড়া করতে হয়!  আপনি যদি মনে করেন একদিনে যেয়ে একদিনে চলে আসবেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নতম ভাড়া ৫৪০০টাকা দিতে হবে এই ভাড়াটা খাগড়াছড়ি থেকে তবে দীঘিনালা থেকে ভাড়া কিছুটা কম! আর সাজেকে একদিন থাকলে সেক্ষেত্রে ভাড়া ৭০০০-৮০০০টাকা! চাঁদের গাড়ি ব্যাতিত আপনি সিএনজি(এগুলো শক্তিশালী সিএনজি), বাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সাজেক যাইতে পারবেন!
 সাজেক যাওয়ার জন্য দিনে শুধু দুইবার গাড়ি যাতায়াত করে একবার সকালের দিকে আরেকবার বিকালের দিকে এবং গাড়িগুলোকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়! যাত্রাপথে বাঘাইছরিতে এসে গাড়ি থেকে নেমে বেশকীছূক্ষোণ অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে ! বাঘাইছরি হলো রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির মাঝামাঝি স্থান এখানে চেকপোস্টে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে আবার যাত্রা শুরু হবে! যাত্রাপথে রাস্তার আশেপাশে দৃশ্য আপনার মন কেরে নিবে এবং অনেক ছোট ছোট বাচ্চা রাস্তার দুপাশ থেকে হাত নেরে আপনাদের অভিবাদন জানাবে ! বাচ্চাদেরকে লজেন্স দিলে বাচ্চারা খুবই খশি হয় যদি পারেন যাত্রাপথে অবশ্যই লজেন্স নিয়ে যাবেন এবং চলন্ত গাড়ি থেকে তাদেরকে নিক্ষেপ করে দিবেন !
এইভাবে চাঁদের গাড়িতে কয়েক ঘন্টা জার্নি শেষে আপনি পৌছে যাবেন সাজেক ভ্যালি!

আজ এ পর্যন্তুই পরবর্তি পর্বে আপনাদের বলব সাজেকের হটেল,রেস্টুরেন্ট ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে!

Comments